রাজ‍্য সরকারের ই - পাসের মাধ‍্যমে সিঙ্গুরে ফিরলেন বেনারসে আটকে থাকা বয়স্ক পর্যটকরা

8th May 2020 হুগলী
রাজ‍্য সরকারের ই - পাসের মাধ‍্যমে সিঙ্গুরে ফিরলেন বেনারসে আটকে থাকা বয়স্ক পর্যটকরা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : ভিন রাজ্যের আজমির শরিফ থেকে যখন পর্যটক সহ পরিযায়ী শ্রমিকদের বিশেষ ট্রেনে এই রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, তখন উল্টোদিকে এই রাজ্যের হুগলির সিঙ্গুর এলাকার ১৭ জন বয়স্ক পর্যটকরা উত্তরপ্রদেশের বেনারসের একটি হোটেলে গৃহবন্দি রয়েছে। গত ২২ শে মার্চ বেনারস থেকে ট্রেনের ফেরার টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু লকডাউনের জেরে আটকে রয়েছে বেনারসের  পি.এম. গঙ্গা নামে হোটেলে । সিঙ্গুরের তাঁদের পরিবারের লোকজন বারবার স্হানীয় পুলিশ প্রশাসন থেকে বিডিও ও জেলাশাসক দপ্তরে গিয়ে ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদন করেও কোনও সুরাহা মেলেনি। প্রায় দু মাস ধরে হোটেলে আটকে থাকার ফলে অধিকাংশ বয়স্ক পর্ষটকরা মানসিক শক্তি হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, যত শীঘ্র অসুস্থ অবস্থায় বাবা-মা কে না আনাতে পারলে, এরপর মৃতদেহ আনতে হবে বেনারস থেকে।রাজ্য সরকারের ই - পাসের মাধ্যমে শুক্রবার তারা নিজেদের পকেট থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে বাসে করে সিঙ্গুরে ফিরল। আগতদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় সিঙ্গুর ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহাদেব দাস।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।